ডেস্কটপ পরিচিতি-১

কম্পিউটার ব্যবহার বা পরিচালনার পূর্বে কিছু সাবধান বাণী যা পালন করা অত্যাবশ্যক।

১. কম্পিউটারের ধারে কাছে ধোয়া বা ঐ ধরণের কিছুর প্রবেশ বন্দ করতে হবে। কারণ এগুলো হার্ডডিস্কে মারাত্মক কূফল বয়ে আনতে পারে।

২. কম্পিউটারকে সরাসরি সূর্যের আলো কিংবা আদ্র আবহাওয়া থেকে দুরে রাখতে হবে।সাধারণত: এসি রুম হলে ভাল হয়।অভাবে ঘরের মধ্যে যেন কখনো ভেজা আবহাওয়া না থাকে এবং ঘরটি মোটামুটি ঠান্ডা থাকে।

৩. দেওয়াল ঘেসে কখনই কম্পিউটারকে রাখা যাবে না। প্রতিটি কম্পিউটারের মধ্যে নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। দেওয়াল ঘেসে রাখলে সে ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হয়। এছাড়াও দেওয়াল থেকে চুন, রং ইত্যাদি খসে কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করলে কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৪. কম্পিউটার চালু করার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে এর সাথে লাগানো তারগুলো ঠিকঠাক লাগানো আছে কিনা। কোন তার ঢিলা থাকলে স্পার্ক হয়ে কম্পিউটার ডিভাইস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৫. কম্পিউটারে বিদ্যুৎ সংযোগ অবশ্যই ভোল্ট ষ্টাবিলাইজার মাধ্যম হতে হবে।কারণ আমাদেশে বিদ্যুতের উঠা-নামা যে দ্রুত গতিতে হয় তাতে কম্পিউটার হঠাৎকরে খুব বেশী ভোল্টেজ চলে আসতে পারে। এতে কম্পিউটারের নাজুক জিনিষগুলো পুড়ে যেতে পারে।

৬. ডিস্ক ড্রাইভ এর লাইটজ্বলা অবস্থায় কখনোই ডিস্ক বের করা যাবে না।করলে ডিস্ক ড্রাইভ এর রিডার হেড নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৭. কম্পিউটারের সিগন্যাল বাতি(লাল এন্টিগেটর বাল্ব) মিট মিট করে জ্বলতে থাকলে বুঝতে হবে কম্পিউটার কোন না কোন কাজ করছে। এই অবস্থায় কম্পিউটারের সুইচ সরাসরি বন্ধ করা যাবে না। এতে হার্ডডিস্ক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

৮. কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক কখনই ফরমেট করা উচিৎ নয়।

৯. কম্পিউটারের কাজ করার সময় অস্থির হয়ে কিছু করা যাবে না। এমন অনেক কাজ আছে যা সম্পাদন করতে কম্পিউটার কিছুটা সময় নিতে পরে। অস্থির হয়ে কিছু করলে কম্পিউটারের স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। ফলে কম্পিউটারের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

১০. কম্পিউটার কীবোর্ড একাট প্রয়োজনীয় অংশ। এই কীবোর্ডের বোতামগুলো খুবই স্পর্শকাতর। খুব বেশী জোরে চাপদিয়ে অপারেট করা উচিৎ নয়। কীবোর্ডের কাছাকাছি কোন পাণীয় দ্রব্য বা তরল পদার্থরাখা যাবে না।

১১. কোন একটি প্রোগ্রামে কাজ করার সময় সেই প্রোগ্রাম বন্ধ না করে সরাসরি সুইচ টিপে কম্পিউটার বন্ধ করা যাবে না। কম্পিউটার বন্ধ করতে হলে পর্যায়ক্রমিক ভাবে সব প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করে কম্পিউটারের নির্ধারিত শাটডাউন পদ্ধতিতে বন্ধ করতে হবে।

ইতিপূর্বে আমরা কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিষয়ের সাথে পরিচিত হয়েছি। এবার হাতে কলমে কিভাবে কম্পিউটারকে চালাতে হবে এবং এর থেকে কিভাবে উপযোগি কাজগুলো আদায় করে নিতে হবে সেগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হবে। আমার বিশ্বাস শুধু সামনে একটি কম্পিউটার এবং এই ব্লগ সাইটটি ওপেন করে প্রবন্ধগুলি সামনে থাকলেই যে কেউ ধাপে ধাপে কম্পিউটার অপারেটিং শিখে নিতে পারবে এবং কম্পিউটার সম্পর্কে সাম্যক ধারণাও অর্জন করতে পারবে।

ডেস্কটপ পরিচিতিঃ

আমরা এখন কম্পিউটার ওপেন করার জন্য প্রস্তুত। এজন্য আমাদের যা করণীয়-

(১) প্রথমেই ভাল করে দেখে নিতে হবে কম্পিউটারের সব ডিভাইসগুলোর বৈদ্যুতিক কেবলসহ কানেকশান কেবল ঠিকঠাক ভাবে লাগানো আছে কিনা। অর্থাৎ সিপিইউ এর সাথে মনিটর, কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি যন্ত্রগুলোর তার ঠিকমত লাগাতে হবে।

(২) সিপিইউ ও মনিটরের বৈদ্যুতিক তার দু’টি ষ্ট্যাবিলাইজারের সকেটে স্থাপন করতে হবে এবং ষ্ট্যাবিলাইজারের বিদ্যুৎ কেবলে বিদ্যুৎ সংযোগ করতে হবে। তারপর সিপিইউ এর প্রধান সুইচ ও মনিটরের সুইচ ওপেন করতে হবে।

এবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। কম্পিউটার তার নিজস্ব কায়দায় ভেতরের সিষ্টেম সফটওয়্যার বা ডস তার যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকবে এবং এসময় মনিটরে বিভিন্ন ধরণের লেখা দেখা যাবে। তারপর একসময় ডস কম্পিউটারের উইন্ডেজ চালু করে দেবে। এ সময় মনিটরের পর্দায় বা ডেস্কটপের পর্দায় বিভিন্ন ধরণের ছোট ছোট আইকন বা ছবি ভেসে উঠবে।এটাই উইন্ডোজের খোলা জানালা বা ডেস্কটপ।পূর্বেই বলা হয়েছে, উইন্ডোজ একটি ডস ভিত্তিক অপারেটিং সিষ্টেম। ডসকে মঞ্চ করে এটি কাজ করে। এটা আমাদের কস্পিউটারের ব্যবহারকে সহজ করে দিয়েছে। এটি আবিষ্কারক বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের অধিকর্তা বিজ্ঞানী বিল গেটস। একটি ঘরের খোলা জানালা দিয়ে যেমন ঘরের ভিতরে কি আছে তা দেখা যায়। আমাদের খোলা জানালায় তার চেয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব।পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। হ্যাঁ যা বলছিলাম, খোলা জানালায় ফুটে ওঠা ছবিগুলোকে কম্পিউটারের ভাষায় আইকন বলে।এই আইকনগুলো দেখতে বিভিন্ন চেহারার কারণ এগুলো সব ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলী সম্বৃদ্ধ এক একটা প্রোগ্রাম।প্রতিটি আইকনের নিচে তার পরিচিতি হিসেবে নাম লেখা আছে।

উপরের বামদিকের কোণায় ‘মাই কম্পিউটার’ নামে একটি আইকন আছে। এটা আমাদের কম্পিউটারের আইকন। অতএব আমাদের কম্পিউটারের ছবিটিই এখানে ছোট আকারে ভেস উঠেছে। ঠিক তার নিচে ‘ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার’ নামের একটি আইকন আছে। এটি একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার, উইন্ডোজের সাথে প্যাকেজ হিসেবে থাকে। কম্পিউটার ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকলে এই আইকন এর উপর ডবল ক্লিক করে ব্রাউজার ওপেন করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।তার নিচে রয়েছে ‘রিসাইকেল বিন’ নামের আরেকটা আইকন। এটাকে কম্পিউটারের ডাষ্টবিনও বলা হয়ে থাকে। কম্পিউটারের যে কোন স্থান থেকে কোন অপ্রয়োজনীয় ফাইল বা ফোল্ডার, ছবি বা কোন ডকুমেন্ট মুছে ফেললে তা এই অংশে এসে জমা হয় তাই একে কম্পিউটারের ডাষ্টবিন বলে। একে অপর কথায় ফাইল ট্রাশ করাও বলে। এছাড়া অনেক কম্পিউটারের বাম পাশে মাই কম্পিউটার আইকনের উপরে ‘মাই ডকুমেন্টস’ নামের একটা আইকন থাকে। যেটা কম্পিউটারের সি ড্রাইভের একটি ডকুমেন্ট ফোল্ডার। যেখানে আমাদের তৈরী ও সেভ করা ফাইল বা ফোল্ডার জমা হয়।প্রতিটি কম্পিউটারে এগুলো কমন আইকন হিসেবে পাওয়া যাবে। এছাড়া আমাদের উইন্ডোজের অধীনে যে কোন এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ইনষ্টল করলে তার আইকনও ডেস্কটবে দেখা যাবে, যা ব্যবহার করে দ্রুত উক্ত প্রোগ্রাম ওপেন করা এবং কাজ করা যাবে।

এবারে ফাইল এবং ফোল্ডার সম্পর্কে দুএকটা কথা না বললেই নয়। ফাইল হলো কোন এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের আওতায় বা মাধ্যমে আমাদের তৈরী করা তথ্যসম্বৃদ্ধ ডকুমেন্ট। আর ফোল্ডার হলো ফাইল রাখার ক্যাবিনেট বা খাম। এই ফোল্ডারের ভিতর যত ইচ্ছা ফাইল ও ফোল্ডার জমা রাখা যায়। কম্পিউটারে কাজ করতে গেলে এধরণের অসংখ্য ফোল্ডার আইকন দেখতে পাওয়া যাবে।কম্পিউটারের সবগুলো প্রোগ্রামের আইকন ডেস্কটপে থাকে না।এগুলো ষ্ট্যাট মেনুর অধীনে প্রোগ্রাম নামক মেনুর ভিতর থেকে ওপেন করতে হয়। আবার কীবোর্ড শর্টকাট তৈরী করে নিয়েও ওপেন করা যায়।এই মেনুর অধীনে কম্পিউটারের যাবতীয় এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো থাকে।

আমাদের কম্পিউটারের খোলা জানালার একেবারে ডানদিকে উপরের কোণায় ‘অফিস শর্টকাট’ মেনু থাকে। এখান থেকে মাইক্রোসফট অফিসের অধীনের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ওপেন করে কাজ করা যায়। একেবারে প্রথমে যে আইকনটি রয়েছে এটি ‘উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে’র আইকন। এই আইকনে মাধ্যমে এক্সপ্লোরার ওপেন করে আমাদের কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের মধ্যে কি কি ফাইল বা ফোল্ডার আছে সেগুলো দেখা যাবে। এর পাশের আইকনটি ‘মাইক্রোসফট ওয়ার্ড’ ডকুমেন্ট এর আইকন। এখান থেকে আমরা লেখা লেখি করার জন্য ডকুমেন্ট ফাইল ওপেন করে কাজ করতে পারি। এরপাশে আছে ‘মাইক্রোসফট একসেল’ নামের আইকন। এটাকে ব্যবহার করে আমরা হিসাব নিকাশ করার যোগ্য একাট চমৎকার হিসাবের ফাইল ওপেন করে কাজ করতে পারি। এরপাশে আছে ‘মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট’ নামের আইকন। এটা একটি প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর প্রেজেন্টেশন ডিসপ্লে তৈরি করতে পারি। এরপাশেই রয়েছে ‘মাইক্রোসফট একসেস’ নামের আইকন। এর সাহায্যে ডাটাবেস প্রোগ্রামিং এর কাজ অতি সহজে করা যায়।

ডেক্সটপের একেবারে নীচে উইন্ডোজ মনোগ্রাম যুক্ত ‘ষ্ট্যাট লেখা’ একটি লাইন আছে,একে টাস্কবার বলে। এর যে অংশে ষ্ট্যাট লেখা আছে ঐ অংশকে ‘ষ্ট্যাট মেন’ বলে। এই মেনুর সাহায্যে কম্পিউটারে কি কি সফটওয়্যার দেওয়া আছে তা যেমন দেখা যায় আবার এগুলো ওপেন করে কাজও করা যায়। কোন প্রোগ্রাম ওপেন করলে টাস্কবারে তার নামটি দেখা যায়। এছাড়া টাস্কবারের ডান কোণে ডেট-টাইম, সাউন্ড ভলিউমসহ বেশ কিছু আইকোন রয়েছে। এগুলোতে ডবল ক্লিক করে ওপেন করে তা এডিট করাও যায়। এই হলো আমাদের ডেস্কটপ বা উইন্ডোজের খোলা জানালা।

কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলার পদ্ধতিঃ

কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলার পূর্বে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যে কোন ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলার আগে দেখতে হবে ফাইলটি সত্যিই অপ্রয়োজনীয় কিনা। ফেলে দেওয়ার পর ফাইল উদ্ধার করা সম্ভব হলেও সেটা বেশ কষ্টসাধ্য। তাছাড়া সব ফাইল ফোল্ডার আবার উদ্ধার করা যায়ও না। সুতরাং কোন ফাইল বা ফোল্ডার ফেলে দেওয়ার আগে ভাল করে নিশ্চিত হতে হবে যে ফাইলটি অপ্রয়োজনীয় বা এর গুরুত্ব কতখানি।

কোন ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলতে হলে প্রথমে ফাইল বা নির্বাচন করতে হবে। তারপর মাউসের পয়েন্টার ফাইল বা ফোল্ডারের উপর নিয়ে মাউসের বামপাশের বোতাম একবার চাপ দিতে হবে অর্থাৎ সিঙ্গল ক্লিক করতে হবে।ফাইলটি সিলেক্ট হবে। এবার কীর্বোড থেকে ‘ডিলেট কী’ চাপতে হবে। সাথে সাথে ফাইল বা ফোল্ডারটি রিসাইকেল বিন নামক ফোল্ডার আইকনে জমা হবে। এবার রিসাইকেল বিন পরিষ্কার করার জন্য মাউসের পয়েন্টার রিসাইকেল বিনের উপর নিয়ে বাম পাশের বোতাম একবার চেপে রিসাইকেল বিন সিলেক্ট করতে হবে। তারপর মাউসের পয়েন্টার রিসাইকেল বিনের উপর রেখে মাউসের ডান পাশের বোতাম একবার চাপলে একটি সংলাপ বক্স চলে আসবে। এখানে ওপেন, এক্সপ্লোর, এমটি রিসাইকেল বিন, পেষ্ট, ক্রিয়েট শর্টকাট ও প্রোপাটিজ লেখা দেখতে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ কম্পিউটার জানতে চায় সে কি করবে। তাই এবার ফাইল বা ফোল্ডার চির কালের জন্য মুছে ফেলতে ‘এমটি রিসাইকেল বিন’ এর উপর মাউসের পয়েন্টার নিয়ে বাম পাশের বোতাম একবার চাপলেই আরও একটি সংলাপ বক্স ভেসে আসবে। এটা সাবধান বাণীও বলা যায়। কারণ কম্পিউটার আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো কাজ করে। তাই কোন কিছু করার আগে মাঝে মাঝে এধরণের সংলাপ বক্স এসে জানতে চাইবে বা জিজ্ঞাসা করবে সত্যিই যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা পালন করবে কিনা, অর্থাৎ ফাইলটি চিরতরে মুছে ফেলবে কিনা। এবার সংলাপ বক্সের ইয়েস লেখাতে মাউসের বাম বোতাম ক্লিক করলেই ফাইলটি চিরতরে মুছে যাবে।

বিভিন্ন আইকন ওপেন করা বা খোলাঃ

এতক্ষণ আমরা উইন্ডোজের বিভিন্ন আইকোনের সাথে পরিচিত হলাম। এবার আমরা পর্যায়ক্রমে এগুলো খুলে দেখবো এর ভিতরে ঠিক কি কি আছে। প্রথমেই দেখা যাক ষ্ট্যাট মেনু-এর মধ্যে কি আছে। এ কাজটি করার জন্য যা করণীয়-

প্রথমে মাউসটা নাড়াচাড়া করে বা ড্রগ করে তার পয়েন্টার ষ্ট্যাট লেখার উপর নিয়ে বাম পাশের বোতাম একবার চাপলে বা সিঙ্গল ক্লিক করলে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিকভাবে বিভিন্ন মেনু কমান্ড বা মেনু নির্দেশ সারিবদ্ধ ভাবে দেওয়া আছে। এগুলোর প্রতিটিই আমাদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজনীয়গুলিই এখানে আলোচনা করবো।

প্রোগ্রামস্ মেনুঃ এই মেনু কমান্ডের ভেতরে রয়েছে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার। আর সেইসব প্রোগ্রাম সফটওয়্যার খুলতে বা ব্যবহার করে কাজ করতে এই মেনুর সাহায্য প্রয়োজন হয়। মাউসের পয়েন্টার মেনু কমান্ডের উপর নিয়ে সিঙ্গল ক্লিক করেলে এর অধীনের সব প্রোগ্রামস গুলো দেখা যাবে এবং এখান থেকে প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম সফটওয়্যারটি সিঙ্গল ক্লিক করে ওপেন করতে হবে।

ডকুমেন্টস মেনুঃ কম্পিউটারে যে সব কাজ করা হয়েছে তার মধ্য থেকে সাম্প্রতিক সময়ের ফাইলগুলো এই মেনুকমান্ডের অধীনে থাকে এবং এখঅন থেকে তা ওপেন করা যায়।

সেটিংস মেনুঃ এই মেনুকমান্ডের অধীনে থাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন সেটিংস সম্পর্কিত তথ্যনির্দেশ। এখান থেকে সেটিংস মেনু ওপেন করে এডিট করা যায়।

ফাইন্ড মেনুঃ এই মেনু কমান্ড ব্যবহার করে কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাইল ফোল্ডার খুজে বের করা যায়।অবশ্য সেজন্য সেই কাঙ্খিত ফাইল বা ফোল্ডারের নাম বা নামের কিছু অংশ অথবা ফাইলের ভিতরের ডকুমেন্টের কোন অংশ মনে থাকার প্রয়োজন হয়।কারণ এর উপর ভিত্তি করেই ফাইন্ড মেনু কাঙ্খিত ফাইলটি খুজে বের করে। ফাইন্ড মেনুর সাহায্য নিতে হলে যা করণীয়-

প্রথমে ষ্ট্যাট মেনু ওপেন করে মেনু কমান্ড তালিকা থেকে ফাইন্ড মেনুটির উপর সিঙ্গল ক্লিক করলে এর অধীনের একটি সাব মেনু কমান্ডের তালিকা ওপেন হবে।এই সাব মেনু কমান্ডের তালিকা থেকে ফাইল অর ফোল্ডারস নামক মেনুটির উপর সিঙ্গল ক্লিক করলে সংলাপ বক্স ওপেন হবে। এই সংলাপ বক্সের নেমড লেখা ঘরের মধ্যে ফাইলের নামটি টাইপ করতে হবে। অর্থাৎ যে ফাইলটি খুজতে চাই তার নামটি এখানে লিখতে হবে।

এরপর লুক ইন বক্সে হার্ডডিস্কের কোন অংশে আছে তা নির্দেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ড্রাইভ এর লোকেশন না দেখানো থাকলে ডান পাশের ড্রপ ডাউন বোতামে(তীর চিহ্ন স্থানে) ক্লিক করে নির্দেশ করতে হবে।এবার কীবোর্ড থেকে এন্টার কী চাপলে অথবা সংলাপ বক্সের ডান পাশের ‘নাউ সার্চ’ বোতামে ক্লিক করলে যদি ফাইলটি কম্পিউটারে থাকে তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে ফাইলের নামটি সংলাপ বক্সের নিচের অংশে ভেসে উঠবে। এখানে ফাইলটি কোথায় আছে, কত সাইজের ফাইল তাও প্রদর্শিত হবে। যদি কোন কারণে ফাইলের নামটি মনে না থাকে তাহলে ফাইলের ভিতরকার ডকুমেন্টের বিশেষ কিছু অংশ সংলাপ বক্সের ‘কানেক্টিং টেক্সট’ ঘরের মধ্যে টাইপ করে এন্টার বোতাম চাপলে কম্পিউটার ডকুমেন্টটি খুজে বের করে দেবে; তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সময় নেবে। কারণ পুরো কম্পিউটারের ভেতরকার সব ফাইলের ডকুমেন্টের অংশ পড়তে হবে কম্পিউটারকে। অনেক সময় ফাইল তৈরীর তারিখটি মনে থাকলেও ফাইলটি খুজে পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে ঐ সংলাপ বক্সের ডেট লেখা অংশে তারিখটি টাইপ করে এন্টার কী চাপতে হবে।

ডায়ালগ বক্স বা সংলাপ বক্স পরিচিতিঃ

কম্পিউটার চালাতে গেলে কোন কোন মেনু কমান্ড দিলে যে বক্সটা ওপেন হয় তাকে সংলাপ বক্স বলে।প্রায় প্রতিটি মেনু কমান্ডের অধীনে এধরণের একটি করে সংলাপ বক্স আছে। কোন কোন সংলাপ বক্সের আবার সাব সংলাপ বক্সও আছে। এইসব সংলাপ বক্সের সাহায্যে কম্পিউটারকে উপযুক্ত নির্দেশ দেওয়া যায়। প্রধান সংলাপ বক্স এবং সাব সংলাপ বক্সের চেহার একই রকম নাও হতে পারে তবে এর মধ্যে কিছু কমন বা সাধারণ বিষয় থাকে সেগুলো প্রতিটি সংলাপ বক্সেই থাকে। সংলাপ বক্সের সেই সব সাধারণ বিষয়গুলো নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করবো। সংলাপ বক্সের উপরের অংশকে টাইটেল বার বলে। এখানে সংলাপ বক্সের নাম লেখা থাকে। টাইটেল বারের ডান দিকে কোণায় তিনটি চিহ্ন আছে। (-) বিয়োগ চিহ্ন সম্বলিত আইকনে ক্লিক করলে (ক্লিক বলতে মাউসের বাম পাশের বোতাম একবার চাপ দেওয়া বুঝায়) প্রোগ্রামটি মিনিমাউজ হয়ে টাস্কবারে অবস্থান করবে।এটাকে পুণরায় আবার পর্দায় আনতে টাস্কবারের যেখানে এটি মিনিমাইজ হয়ে আছে তার উপর মাউসের ক্লিক করলে পর্দায় চলে আসবে। এই আইকনের পাশে বর্গাকার বা চারকোণা একটা বক্স আছে, এই বক্সে ক্লিক করলে সংলাপ বক্সটি ছোট অথবা বড় হবে। তার পাশে গুণ চিহ্ন বা ক্রস চিহ্ন সম্বলিত আইকনটি ক্লিক করলে সংলাপ বক্সটি ক্লোজড বা বন্ধ হয়ে যাবে।

সংলাপ বক্সে ঠিক এর নিচের লাইনে আছে ফাইল, এডিট, ভিউ, গো, ফেভারিট, হেল্প ইত্যাদি লেখা সম্বলিত আর একটি লাইন। এর নাম মেনুবার। এখানে উল্লেখিত শব্দগুলো প্রতিটি আলাদা আলাদা মেনু এবং এর কাজও আলাদা আলাদা। মেনুবারের এইসব কমান্ডের যে কোনটির উপর মাউসের পয়েন্টার নিয়ে ক্লিক করলে এর অধীনের সাব মেনু তালিকা দেখা যাবে। সেখান থেকে মাউসের সাহায্যে প্রয়োজনীয় অংশে ক্লিক করে কমান্ড দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করা যাবে।

হেল্প মেনুঃ এই মেনুর অধীনে কমান্ডের অধীনে রয়েছে উইন্ডোজ চালনা করবার বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া। কম্পিউটার চালাতে গিয়ে সাময়িকভাবে কোন সমস্যায় পড়লে এই মেনুর অধীনে সব মেনুর সাহায্যে সমাধার খুজে পাওয়া যাবে।

রান মেনুঃ এই মেনু কমান্ডের সাহায্যে কোন নতুন প্রোগ্রাম উইন্ডোজে ইনষ্টল করা যাবে। আবার কোন প্রোগ্রাম এখান থেকে চালুও করা যাবে।

সাসপেন্ড মেনুঃ এই মেনু কমান্ডের মাধ্যমে আমরা সাময়িকভাবে মনিটরকে বিশ্রাম দিতে পারি। বিশেষ কোন প্রয়োজনে সিপিইউ ওপেন রেখে মনিটরকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে রাখতে চাইলে এই মেনু কমান্ডটি সিলেক্ট করে কীবোর্ডের যে কোন কী চাপলেই হবে।

শাট ডাউন মেনুঃ এই মেনু কমান্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারকে পুরোপুরি বন্ধ কিংবা নতুন করে চালু করা যায়। কম্পিউটার বন্ধ কিংবা নতুন করে চালু করতে এই শাটডাউন নামের মেনু কমান্ডটি মাউসের পয়েন্টার দিয়ে সিলেক্ট করে ক্লিক করলে একটি সাব মেনু ওপেন হবে। এখানে তিনটি অপশন আছে, যেমন- স্ট্যান্ডবাই, শাটডাউন, রিষ্ট্যাট। কম্পিউটার বন্ধ না করে ষ্ট্যান্ডবাই করে রাখলে এটার উপর ক্লিক করে ওকে করতে হবে। আর বন্ধ করতে চাইলে এখান থেকে শাটডাউন বোদামে ক্লিক করলে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক সময় কম্পিউটারে কোন কাজের সমস্যা দেখা দিলে রিষ্ট্যাট বা পুণরায় চালু করার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে রিষ্ট্যাট বোতামে ক্লিক করে ওকে করতে হবে। আবার যদি ডস মুডে কম্পিউটার চালানোর প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ‘রিষ্ট্যাট ইন এম.এস ডস মুড’ এ ক্লিক করতে হবে।

উইন্ডোজ ইউটিলিটি সফটওয়্যারঃ

উইন্ডোজের অধীনে কিছু ইউটিলিটি সফটওয়্যার আছে, যেগুলো কম্পিউটারে কাজ করার সময় আমাদের প্রায়ই কাজে লাগবে।এরমধ্য বিশেষ বিশেষ কিছু সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করবো।

ক্যালকুলেটরঃ কম্পিউটারের উইন্ডোজের অধীনে দুই ধরণের ক্যালকুলেটর আছে। এর একটি সাধারণ আর অন্যটি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর।ক্যালকুলেটর ওপেন করতে করণীয়-

প্রথমে ষ্ট্যাটমেনুর উপর মাউসের ক্লিক করে এর ভেতরকার প্রোগ্রাম মেনুর উপর আবার ক্লিক করলে একটি সাবলিষ্ট প্রদর্শিত হবে। এর ভিতরকার এক্সেসারিজ এর উপর ক্লিক করতে হবে তার পাশে তাৎক্ষণিক প্রদর্শিত ক্যালকুলেটর মেনুটি সিলেক্ট করতে হবে।এখানে সাধারণ একটি সাধারণ ক্যালকুলেটর ওপেন হবে। ক্যালকুলেটর বদলাতে বা সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর দরকার হলে প্রদর্শিত ক্যালকুলেটর এর উপরের মেনু বার থেকে ভিউ মেনুতে ক্লিক করে কি ধরণের ক্যালকুলেটর দরকার তা নির্বাচন করে নিতে হবে।

স্ক্যানডিস্কঃ কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে মাঝে মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসময় স্ক্যানডিস্ক নামক উইন্ডোজ ইউটিলিটি সফটওয়্যারটি চালালে সেইসব সমস্যার মোটামুটি সমাধান পাওয়া যায়। স্ক্যানডিস্ক চালাতে হলে যা করণীয়-

প্রথমে ‘ষ্ট্যাটমেনু’র উপর মাউসের ক্লিক করে এর ভেতরকার ‘প্রোগ্রাম মেনু’র উপর আবার ক্লিক করলে একটি সাবলিষ্ট প্রদর্শিত হবে। এর ভিতরকার ‘এক্সেসারিজ’ এর উপর ক্লিক করতে হবে তার পাশে তাৎক্ষণিক প্রদর্শিত সাবমেনুর অন্তর্গত ‘সিষ্টেম টুলস’ মেনু কমান্ড সিলেক্ট করতে হবে। একটি সংলাপ বক্স ওপেন হবে। এই সংলাপ বক্সে সাদা ঘরের মধ্যে কয়েকটি নাম লেখা দেখা যাবে। এখান থেকে হার্ডডিস্ক নির্বাচন করে ‘টাইপ অফ টেষ্ট’ অপশনের ‘থ্রো’ সিলেক্ট করতে হবে তারপর এর নিচে অটোমেটিক্যালি ফিক্সড ইরোর এর চেকবক্সটি সিলেক্ট করে সংলাপ বক্সের ডান পাশে ‘অপশন’ লেখাটি সিলেক্ট করলে আরও একটি সাব সংলাপ বক্স ওপেন হবে।এই সংলাপ ঘর থেকে ‘সিষ্টেম এন্ড ডাটা এরিয়াস’ সিলেক্ট করে ‘ওকে’ লেখা বক্স সিলেক্ট করলে অথবা কীবোর্ড থেকে এন্টার কী চাপলে হবে।এবার পুর্বের সংলাপ বক্সের নিচের অংশে ষ্ট্যাট লেখা বক্সটি সিলেক্ট করতে হবে।এবং হার্ডডিস্ক স্ক্যানিং শুরু হয়ে যাবে।স্ক্যান শেষে জটিল কোন সমস্য থাকলে একটি সংলাপ বক্স প্রদর্শিত হবে এবং সেখান থেকে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের বর্তমান অবস্থা জানা যাবে।এর ফলে ছোট খাটো কোন সমস্যা হলে কম্পিউটার নিজস্বভাবে তা সমাধান করে নেবে।

উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার ওপেন করাঃ

এবার আমরা ‘মাইক্রোসফট অফিস’ টুলবার থেকে ‘উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার’ আইকনটি ওপেন করবো। এই আইকনটি ওপেন করলে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের ভিতর কি কি ফাইল বা ফোল্ডার আছে তা জানা যাবে।এই আইকনের উপর মাউসের ক্লিক করলে সাথে সাথে একটি সংলাপ বক্স ওপেন হবে এবং এর উপরের অংশে টাইটেল বারে বক্সটির নাম দেখাবে। এই বক্সটি দুই ভাগে বিভক্ত। বাম পাশে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে মধ্যেকার যাবতীয় ফাইল ও ফোল্ডার আইকন দেখাবে। এবং বাম পাশের অংশ থেকে যদি কোন ফাইল বা ফোল্ডার নির্বাচন করা হলে ডান পাশের অংশে ঐ ফাইল বা ফোল্ডারের ভিতরে কি আছে তা দেখাবে।

ফোল্ডার তৈরী করাঃ

কম্পিউটারের কাজ করে ফাইল রাখার জন্য ফোল্ডার তৈরীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। ফোল্ডার তৈরী করার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে।

ফোল্ডার তৈরীর পদ্ধতি (১): প্রদর্শিত ‘উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার’ এর খোলা সংলাপ বক্সের মেনুবার থেকে ‘ফাইল’ নামের মেনুটি সিলেক্ট করলে ডান পাশে একটি ‘সাব সংলাপ মেনু’ ওপেন হবে। এর তালিকা থেকে নিউ সাব মেনুটি সিলেক্ট করলে আরও একটি সাব মেনু প্রদর্শিত হবে এখান থেকে ‘ফোল্ডার’ নামের সাব মেনুটি সিলেক্ট করলে সাথে সাথে ‘নিউ ফোল্ডার’ নামের একটি ফোল্ডার তৈরী হবে।এই ফোল্ডারের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফাইল জমা রাখা যাবে।

ফোল্ডার তৈরীর পদ্ধতি (২): প্রদর্শিত ‘উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার’ এর খোলা সংলাপ বক্সের ডান পাশের অংশে মাউসের পয়েন্টার নিয়ে মাউসের ডান পাশের বোতাম চাপলে একটি কমান্ডের তালিকা আসবে। এ থেকে ‘নিউ’ কমান্ডের উপর ক্লিক করলে আরও একটি সাব মেনু তালিকা ওপেন হবে এখান থেকে ‘ফোল্ডার’ নির্বাচন করলেই সাথে সাথে ‘নিউ ফোল্ডার’ নামে একটি ফোল্ডার তৈরী হয়ে যাবে।মাউসের সাহায্যে প্রয়োজনে উইন্ডোজের যে কোন স্থানে ফোল্ডার তৈরী করা যায়।

ফোল্ডারের নাম বদলানোঃ

কম্পিউটারের ফাইল সংরক্ষণ এবং পরবর্তীতে তা সহজে খুজে পেতে ফাইল বা ফোল্ডারের নাম বদলাবার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় বা করণীয়- যে ফোল্ডার বা ফাইলের নাম বদলাতে হবে তার উপর মাউসের পয়েন্টার নিয়ে সিঙ্গল ক্লিক করে সিলেক্ট করে নিতে হবে।তারপর মাউসের ডান পাশের বোতাম চাপলে একটি সাবমেনু ওপেন হবে এখান থেকে ‘রিনেম’ লেখা মেনুটি সিলেক্ট করলে নির্বাচিত ফাইল বা ফোল্ডারের নিচে পূর্বের লেখা না সিলেক্ট হবে। এখানে কিবোর্ডের সাহায্যে টাইপ করে ফাইলের নির্বাচিত নামটি লিখতে হবে অর্থাৎ যে নামে ফাইলের নাম করণ করতে চাই তা টাইপ করতে হবে এবং কিবোর্ডের এন্টার কী চাপলে ফাইলের নাম পরিবর্তন হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে একই নামের ফাইল যদি কম্পিউটারে থাকে তা হলে আর একটি সংলাপ বক্স সাবধান বাণী নিয়ে হাজির হবে। অর্থাৎ কম্পিউটার জানতে চাইবে পূর্বের ফাইলের স্থলে এটা রিপ্লেস হবে কিনা। তার অর্থ আগের ফাইল মুছে নতুনটা সেভ হবে।আগের ফাইল মুছতে না চাইলের নির্বাচিত নামের সাথে কোন একটা অক্ষর বা সাংকেতিক চিহ্ন যোগ করলে সেভ হয়ে যাবে।

কম্পিউটার বন্ধ করাঃ

কম্পিউটার বন্ধ করার আগে ওপেন করা সব ফাইল ও ফোল্ডার ক্লোজ করে নিতে হবে। এবার উইন্ডোজের খোলা জানালার নীচে টাস্কবারের স্ট্যাট মেনু সিলেক্ট করে নীচে অথবা ডান পাশে অবস্থিত শাটডাউন নামের মেনু কমান্ডটি মাউসের পয়েন্টার দিয়ে সিলেক্ট করে ক্লিক করলে একটি সাব মেনু ওপেন হবে। এখানে তিনটি অপশন আছে, যেমন- স্ট্যান্ডবাই, শাটডাউন, রিষ্ট্যাট। কম্পিউটার বন্ধ করতে হলে এখান থেকে ‘শাটডাউন’ বোদামে ক্লিক করলে কম্পিউটার যথাযথ ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এবার স্টাবিলাইজারের সুইচটি বন্ধ করে বৈদ্যুতিক সংযোগ তার খুলে অথবা সুইচ বন্ধ করে দিলে কম্পিউটার বন্ধের কাজ শেষ হলো।